কমপক্ষে ৩ টি বিষয়ে বিশ্বজুড়ে আমার পরিচিতি আছে। পদার্থবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ও সাহিত্য।
আমাকে অনেক নিখুত ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। কিভাবে করা হয় আমি জানিনা। ধারণা করতে পারি স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে। আয়নাবাজি ছবিতে মনেহল চঞ্চল চৌধুরীকে দিয়ে আমাকে বলা হল আয়নার কথা। এখনও বিশ্বাস হচ্ছেনা, কারণ অলৌকিক জিনিসের প্রতি আমার আস্থা নেই। 2012 সালে দেখলাম অসংখ্য সুন্দরী মেয়েরা আমার চলার পথের দুপাশে দাড়িয়ে থাকে। কেউ হাসে কেউবা কাদেঁ আবার কেউ ভেংচি কাটে। আমার মনে হল আমি তাদের চিনি কিনা এবিষয়ে কোন অনুসন্ধান হচ্ছে। অনেক ভয় পেয়ে গেলাম, আবার মনে হল এ পরিস্থিতিতে আশার কিছু থাকতে পারে। কমপক্ষে কেউ এগিয়ে এসে বলবে বিষয়টা নিয়ে আমরা আপনার সাথে কথা বলতে চাই। এরপর হয়তো বিশ্বের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্টগ্রাজুয়েশনের স্কলারশীপ হয়ে যেতে পারে অথবা একটা সম্মানজনক চাকুরি। কিন্তু কেউ কিছুই বলেনি আজ পর্যন্ত। এরপর কত বছর কেটে গেল। দেখতে দেখতে দেখলাম হলিউড বলিউডের সিনেমা গুলো পর্যন্ত আমার লাইফ ষ্টাইল থেকে নেয়া। মাই নেম ইজ খান, শাহরুখ অভিনিত বলিউড মুভি।টাইটানিক থেকে শুরু করে এভাটার এর মত ব্লকবাষ্টার মুভিগুলো আমার লেখনি কিংবা লাইফ ষ্টাইলের সাথে বিভিন্ন বিষয়ের ইকো করা হয়েছে। যদিও আমার সাথে পুরোপুরি মিল নেই। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় হুবুহু মিলে যায়।
একবার ভাবুনতো, কুড়েঘরে বসে এসব কিছু নিয়ে অনুসন্ধান করা মানায়? না মানায়না। যখন দেখলাম প্রথম বাংলাদেশী মিডিয়ায়, ভাবলাম তন্ত্র সাধক যারা আমার প্রতি তন্ত্র সাধনা করেছে ( চোখের অশ্রু আর এক্সট্রিম সংগ্রামের সময় 2001 সাল থেকে 2011 সাল পর্যন্ত) তাদের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা অনুসন্ধান করার জন্য কোন ব্যবস্থাপনা কাজ করছে সেটা আমাকে পরোক্ষভাবে বোঝানো হচ্ছে। ভাবলাম কিছুদিন অপেক্ষা করি। কিন্তু অনুভব করতে থাকলাম তন্ত্রগুলো আমার সহ্য করার সামর্থকে অতিক্রম করছে। এরপর 3000 রাত্রি কেটে গেল আজ পর্যন্ত মুক্তির জন্য নানা ধরণের হাপিত্যেশ করতে করতে। প্রতিদিনই মনে হত আজই হয়তো কেই এসে বলবে সবকিছু যতটুকু বোঝা সম্ভব বোঝা হয়েছে। আক্কল মান্দকে ইশারা কিফিহে। অলৌকিক জিনিস নিয়ে বেশী ঘাটাঘাটি করে কোন লাভ নেই, কারণ এখানে ইনফাইনাইট পসিবিলিটি থাকে।এটা হাজার জনমেও এক্সাক্টলি হবেনা। কিন্তু আমার ধারণা ও কল্পনাকে কেউ গ্রহণ করেনি। যেটা করেছে সেটা হচ্ছে টোটাল এগেইন্স্ট মি অফ মাই এক্সিস্টটেন্স।
প্রতিটি রাত্র আমার জন্য এক একটি যন্ত্রণাদায়ক রাত। প্রতিটি ঘুমের পরে যখন জেগে উঠি তখন মনে হয় যেন যুদ্ধ থেকে উঠেছি। সমস্ত শরীর জুড়ে অবসাদ যন্ত্রণা। যখন কোন কিছু পড়ি আমার মাথায় মনে হয় যেন কেউ আঘাত করতে থাকে। যখন বসে থাকি প্রবল ঘুমে নুয়ে পড়ি কিন্তু যখন শুয়ে পড়ি ঘুম উধাও হয়ে যায়।
এসবের মধ্যে এক বিশাল ধ্বংসজঞ্জ রয়েছে। শরীর ও মনকে তার স্বাভাবিক কর্মকান্ড থেকে পঙ্গু করে দেওয়া। শুরুটা হয় চোখ থেকে। চোখের পিছনে মস্তিস্কের রেটিনার সাথে চোখের স্নায়ুর স্বাভিবিক স্ববলতাকে আঘাত করে দিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া হবে। এর পর আপনার ঢুলুনি আসবে যারা আপনাকে দেখছে তাদের মনমত। ঘুমানোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে আঘাত করে আপনাকে দেওয়া হবে এক ধরনের তান্ত্রিক আধাঘূম। মনে হবে আপনি ঘুমাচ্ছেন, কিন্তু আপনার নিশ্বাস পড়ে যাবে, মস্তিস্ক সচল হয়ে উঠবে আরো জোরে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গকে অচল করে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের কর্মকান্ড চলতে থাকবে অনবরত। যখন ঘুম থেকে উঠবেন তখন মনে হবে, এঘুম থেকে মৃত্যুও অনেক ভাল।
ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম আমার নিজের বাড়িতে আমার একটা নিজস্ব রুম থাকবে, (ভাইবোন বেশীতো তাই) তার সামনে থাকবে ফুলের বাগান আর আমার ষ্টাডিরুমটাতে আমি মনের মত করে পড়াশুনা করতে থাকবো। কিন্তু সেই ছোট্র স্বপ্নটাও পূরণ হয়নি। এখানে যে আমার কোন অযোগ্যতা নেই সেটা 2012 সালের আগে বুঝিনি। 2001 সালে অনুভব করলাম আমি সব পড়া ভুলে যাই খুবই তাড়াতাড়ি যেটা আগে ছিলনা….. প্রতিদিন স্বাস্থ্য নিয়ে ষ্ট্রাগলিং হত। ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকক্ষণ বসে থাকতাম নিজের সেন্স আসার জন্য। পড়তে বসলে রাজ্যের ঘুম চেপে বসতো চোখে, বইয়ের টেবিলে বই রেথে বিছানায় ঘুমের মধ্যে হারিয়ে যেতাম। এভাবে অনেকদিন চলে যাওয়ার পর দেখলাম মাথা ঠিকমত কাজ করেনা। মাঝেমধ্যে মাথায় ভীষণ যন্ত্রণা হতো। শেষপর্যন্ত ভাবলাম নাহ এভাবে হবেনা…. পড়াশুনা করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এরপর পরিশ্রমটা অনেক অনেক বেশীই হল. কিন্তু তার বিনিময়ে নির্মণ করে ফেললাম খুব সুন্দর অথচ দারুন কার্যকরী টেকনিক পড়ার জন্য। বিজ্ঞানের জটিল জটিল বিষয়গুলো আর আমার জন্য জটিলকোন বিষয়ই থাকেনি। যাই পড়ি খুব দ্রুত পড়তে পারি। আর মনে রাখাটাও তেমন কোন সমস্যা না। কিন্তু এবার তন্ত্র যেন নতুন ভয়াল রূপ ধারণ করলো। 2004 সালে অনার্সে ভর্তি হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই আমি ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়লাম। ঘুমের সমস্যা, নিশ্বাস নিতে সমস্যা, মাঝে মাঝে মনে হত এই বুঝি মরে যাব। আর পড়ার অক্ষরগুলো চোখে ঝাপসা হয়ে যেত দেখতে দেখতে মাথায় ব্যাথা করতো। কথা বলতে কষ্ট হতো। তান্ত্রিকগুরুদের তান্ত্রিক সাধনায় শেষ পর্যন্ত 2010 সালের ফাইনাল পরীক্ষাটা ঠিকমত দিতেই পারলামনা। (এখন বুঝি স্পিডে এত এনার্জি যে চ্যালেঞ্জে হার মানা ইম্পসিবল) অনুভব করেছিলাম আমার অসুস্থতার মধ্যে এক ধরনের অস্বাভাবিকতা রয়েছে। যখন ডাক্তার দেখাই তখন ডাক্তার বলে যে কি সমস্যা বুঝতে পারছিনা। আমাকে তারা বিভিন্ন ধরনের মানুষিক পরামর্শ দিত। বলত টেনশন ফ্রি থাকবেন আর ভাত বেশী খাবেন। আমার শ্বাস প্রস্বাশের অস্বাভাবিকতা আর লো প্রেশারের পরিমাপ দেখে একবার ডাক্তার চমকে উঠলেন, বললেন কি ওষুধ খেয়েছেন এতদিন। আমি বললাম হোমিওঔষধ, বলল তাহলে ওইটাই খান, সমস্যাটা অনেকটা জটিল ঢাকায় গিয়ে চেকাপ করতে হবে। ভয়ে ঢাকায় যায়নি। পাছে যদি কোন কঠিন রোগ ধরা পরে।…………. (চলবে)
Good post! Thanks for share.